দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার সঠিক নিয়ম স্ট্যাম্প নমুনাসহ

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার সঠিক নিয়ম স্ট্যাম্প নমুনাসহ


দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র
দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র

আপনি কি দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র খুঁজছেন বা দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কিভাবে লিখতে হয় জানতে চাচ্ছেন? 

তাহলে এই পোস্টটি আপনার জন্য। আজকের পোস্টে আমরা জানবো দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার নিয়ম সম্পর্কে। 

আপনাদের সুবিধার্থে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প নমুনাও দিয়ে দিবো। চলুন শুরু করা যাক।

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কি

নিজের দোকান অন্য কারো কাছে টাকা এবং শরতের বিনিময়ে একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ভাড়া দেওয়ার জন্য যে চুক্তি করা হয় তা হলো দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র। 

উভয়ের সম্মতি থাকার কারনে এই চুক্তিপত্র তৈরি করা হয়। এই চুক্তিপত্র দোকানের প্রকৃত মালিক এবং যিনি ভাড়া নেন উভয়ের কাছেই থাকে। 

কেউ যদি কোনো শর্তভঙ্গ করে থাকে তাহলে এই চুক্তিপত্রের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া সহজ হয়। 

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র ফরমেট কি কি

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র ফরমেট রয়েছে। আপনি একটা সাধারণ কাগজে এই চুক্তিপত্র তৈরি করতে পারেন আবার স্ট্যাম্প কাগজেও চুক্তিপত্র তৈরি করতে পারবেন। 

তবে স্ট্যাম্প কাগজে চুক্তি করলে তার ভ্যালু বেশি হয়। স্ট্যাম্প কাগজের মধ্যে আবার ভাগ রয়েছে যেমন : ৫০ টাকার স্ট্যাম্প, ১০০ টাকার স্ট্যাম্প, ৩০০ টাকার স্ট্যাম্প ইত্যাদি। 

৩০০ টাকার স্ট্যাম্প দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার জন্য ভালো। চুক্তিপত্র তৈরি করার সময় খেয়াল রাখতে হবে এটি যেনো A4 সাইজের কাগজে লেখা হয়। দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র স্ট্যাম্প ১০০ টাকা থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে লেখা ভালো। 

আপনাদের কাজের সুবিধার্থে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র পিডিএফ ফাইল আকারে দেওয়া হয়েছে। নিচের পিডিএফ টি দিয়ে আপনারা সরাসরি চুক্তিপত্র তৈরি করতে পারবেন। 


অস্থায়ী দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কি

একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কাউকে শর্তের বিনিময়ে দোকান ভাড়া দেওয়ার চুক্তিপত্র হলো অস্থায়ী দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র। 

আপনার দোকান আপনি চালাচ্ছেন না আবার বিক্রি করে দিতেও চাচ্ছেন না এমতাবস্থায় আপনি আপনার দোকান ভাড়া দিতে পারবেন। 

তবে সেক্ষেত্রে কোনো আইনি ঝামেলা যেনো না হয় সেই জন্য চুক্তবদ্ধ হতে হয়। আর এই প্রক্রিয়ায় আপনাকে চুক্তিপত্র লিখতে হয়। 

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র কি কি চুক্তি থাকে

একেক চুক্তিপত্রে এককে ধরনের শর্ত দেওয়া থাকে। তবে সাধারণত নে চুক্তিসমুহ থাকে সেগুলো নিচে উল্লেখ করা হলো -

১. দোকান ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ দিন/মাস/বছর এত ইংরেজি তারিখ হতে দিন/মাস/বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

২. দোকান ভাড়ার জামানত ২,৫৪,০০০/- ( দুই লক্ষ চুয়ান্ন হাজার ) টাকা দ্বিতীয় পক্ষ ( ভাড়াটিয়া পক্ষ ) প্রথম পক্ষের ( মালিক পক্ষ ) নিকট জমা প্রদান করবে।

৩. প্রতি মাসের ভাড়া ৩৪০০/- ( চৌত্রিশ শত ) টাকা প্রথম পক্ষ মাসের ৫ তারিখ এর মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে।

৪.  চুক্তি চলাকালীন সময়ে দোকানের বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, ট্যাক্স সহ যাবতীয় খরচ দ্বিতীয় পক্ষ বহন করবে এবং যথাসময়ে এগুলোর রশিদ প্রথম পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিবে।

৫. দ্বিতীয় পক্ষ দোকানে কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করতে পারবে না। যদি কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করে এবং আইনি ঝামেলায় পড়ে তাহলে তার সম্পূর্ন দায়ভার দ্বিতীয় পক্ষ নিবে।

৬. প্রয়োজন অনুযায়ী যদি দ্বিতীয় পক্ষকে দোকান খালি করে দিতে হয় তাহলে উভয়পক্ষ দোকান খালি করার ২-৩ মাস আগে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দোকান খালি করার নোটিশ তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের থেকে তার জামানত বুঝে নিবে। এই শর্ত উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। 

৭. উক্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে দোকান বুঝিয়ে দিবে এবং প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের জামানত বুঝিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষের কোনো মাসের বকেয়া থাকলে প্রথম পক্ষ তা তার জামানত থেকে কেটে নিবে এবং বাকি টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে বুঝিয়ে দিবে।

৮. তবে আলাপ আলোচনা করে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে উভয় পক্ষ নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে পুনরায় দোকান ভাড়া দিতে পারে।

৯. দোকান ঘরের শর্টার মেরামতের কাজ মালিক পক্ষ অর্থাৎ প্রথম পক্ষ বুঝিয়া নিবেন।

১০. প্রকাশ থাকে যে, উভয় পক্ষ চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য থাকবে। কোনো শর্ত ভঙ্গণ করলে উক্ত চুক্তিপত্র বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এভাবে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্রের শর্ত দেওয়া থাকে। আশা করি আপনি একটি ধারণা পেয়েছেন দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র সম্পর্কে।




দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখার সঠিক নিয়ম

আমরা একটু আগেই জেনেছিল দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখায় কি কি শর্ত থাকে। এখন আমরা জানবো কিভাবে একটি দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লেখা হয়।

দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে প্রথমে শিরোনাম লিখে নিয়ে এরপর মূল বিষয়বস্তু লেখা হয়। তারপর শর্তসমূহ লিখে সবশেষে দোকানের পরিচয় এবং উভয় পক্ষের সাক্ষর নেওয়া হয়। এভাবে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে হয়।

মুদির দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা 

জেলা : ফরিদপুর ; উপজেলা : ফরিদপুর সদর ; থানা : কোতয়ালী থানা ; দোকান ঘর ভাড়ার চুক্তিনামা দলিল। অগ্রিম বাবদ ২,৫৪০০০/- ( দুই লক্ষ চুয়ান্ন হাজার টাকা ) মাত্র। মাসিক ভাড়া ৪৫০০/- ( চার হাজার পাঁচশ ) টাকা মাত্র। চুক্তির মেয়াদ ৩ ( তিন ) বৎসর।

প্রথম পক্ষ / মালিক পক্ষ

মো ছবুর মোল্লা, পিতা মো আরিফ মোল্লা, মাতা আমেনা খাতুন, সাং - আলিপুর, উপজেলা : ফরিদপুর সদর, জেলা : ফরিদপুর, ডাকঘর : ৭৮০০, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসায়ী।

দ্বিতীয় পক্ষ / অস্থায়ী ভাড়াটিয়া

মো মাজেদ মুন্সী, পিতা আব্দুর রশিদ মুন্সী, মাতা আনোয়ারা বেগম সাং - নগরকান্দা, জঙ্গুর্দী থানা, জেলা : ফরিদপুর, ডাকঘর : ৭৮৪০, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসায়ী।

পরম করুণাময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে আরম্ভ করলাম। যেহুতু আমি প্রথম পক্ষ অর্থাৎ মালিক পক্ষ নিম্ন বর্ণিত দোকান এর ভোগ দখলে আছি। বর্তমান আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন পড়ায় আমি উক্ত দোকান টি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত দোকানটি ভাড়া নিতে রাজি হয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা উভয় পক্ষ নিম্ন লিখিত শর্ত সমূহে একমত হয়ে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করিলাম।

শর্তসমূহ


১. দোকান ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ দিন/মাস/বছর এত ইংরেজি তারিখ হতে দিন/মাস/বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

২. দোকান ভাড়ার জামানত ২,৫৪,০০০/- ( দুই লক্ষ চুয়ান্ন হাজার ) টাকা দ্বিতীয় পক্ষ ( ভাড়াটিয়া পক্ষ ) প্রথম পক্ষের ( মালিক পক্ষ ) নিকট জমা প্রদান করবে।

৩. প্রতি মাসের ভাড়া ৩৪০০/- ( চৌত্রিশ শত ) টাকা প্রথম পক্ষ মাসের ৫ তারিখ এর মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে।

৪.  চুক্তি চলাকালীন সময়ে দোকানের বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, ট্যাক্স সহ যাবতীয় খরচ দ্বিতীয় পক্ষ বহন করবে এবং যথাসময়ে এগুলোর রশিদ প্রথম পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিবে।

৫. দ্বিতীয় পক্ষ দোকানে কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করতে পারবে না। যদি কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করে এবং আইনি ঝামেলায় পড়ে তাহলে তার সম্পূর্ন দায়ভার দ্বিতীয় পক্ষ নিবে।

৬. প্রয়োজন অনুযায়ী যদি দ্বিতীয় পক্ষকে দোকান খালি করে দিতে হয় তাহলে উভয়পক্ষ দোকান খালি করার ২-৩ মাস আগে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দোকান খালি করার নোটিশ তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের থেকে তার জামানত বুঝে নিবে। এই শর্ত উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। 

৭. উক্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে দোকান বুঝিয়ে দিবে এবং প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের জামানত বুঝিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষের কোনো মাসের বকেয়া থাকলে প্রথম পক্ষ তা তার জামানত থেকে কেটে নিবে এবং বাকি টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে বুঝিয়ে দিবে।

৮. তবে আলাপ আলোচনা করে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে উভয় পক্ষ নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে পুনরায় দোকান ভাড়া দিতে পারে।

৯. দোকান ঘরের শর্টার মেরামতের কাজ মালিক পক্ষ অর্থাৎ প্রথম পক্ষ বুঝিয়া নিবেন।

১০. প্রকাশ থাকে যে, উভয় পক্ষ চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য থাকবে। কোনো শর্ত ভঙ্গণ করলে উক্ত চুক্তিপত্র বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র তে লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ন রূপে অবগত হয়ে অন্যের বিনা প্ররোচনায় বিনা অনুরোধে আমরা উভয় পক্ষ নিজ নিজ সহি / স্বাক্ষর করলাম। ইতি তারিখ : দিন/ মাস/ বছর ইং।

দোকান এর পরিচয়

জেলা : ফরিদপুর ; থানা : কোতয়ালি। নিউ মার্কেট, জনতা ব্যাংকের মোড়, ফরিদপুর।

এই ঠিকানায় অন্দরের দোকান টি অত্র চুক্তিপত্রে দলিল দ্বারা আমি মালিক প্রথম পক্ষ ভাড়া দিলাম এবং আমি ভাড়াটিয়া দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়া নিলাম।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর: 


১. ___________________

২. ___________________

৩. ___________________

প্রথম পক্ষ মালিকের স্বাক্ষর: 
---------------


দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর: 
-----------------


কাপড়ের দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র নমুনা

জেলা : ফরিদপুর ; উপজেলা : নগরকান্দা ; থানা : জঙ্গুরদী থানা ; কাপড়ের দোকান ভাড়ার চুক্তিনামা দলিল। অগ্রিম বাবদ ১,৫৪০০০/- ( এক লক্ষ চুয়ান্ন হাজার টাকা ) মাত্র। মাসিক ভাড়া ৪০০০/- ( চার হাজার ) টাকা মাত্র। চুক্তির মেয়াদ ৩ ( তিন ) বৎসর।

প্রথম পক্ষ / মালিক পক্ষ

মো পিয়াস মজুমদার, পিতা মো বিল্লাহ হোসেন, মাতা বিলকিস জাহান প্রভা, সাং - জঙ্গুর্দী, উপজেলা : নগরকান্দা, জেলা : ফরিদপুর, ডাকঘর : ৭৮৪০, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসায়ী।

দ্বিতীয় পক্ষ / অস্থায়ী ভাড়াটিয়া

মো রিয়াজ মোল্লা, পিতা কুদ্দুস মোল্লা, মাতা সাদিয়া বেগম সাং - সালথা, নগরকান্দা থানা, জেলা : ফরিদপুর, ডাকঘর : সালথা, জাতীয়তা : বাংলাদেশী, ধর্ম : ইসলাম, পেশা : ব্যবসায়ী।

পরম করুণাময় আল্লাহর নাম স্মরণ করে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে আরম্ভ করলাম। যেহুতু আমি প্রথম পক্ষ অর্থাৎ মালিক পক্ষ নিম্ন বর্ণিত দোকান এর ভোগ দখলে আছি। বর্তমান আমার নগদ টাকার বিশেষ প্রয়োজন পড়ায় আমি উক্ত দোকান টি ভাড়া দেওয়ার প্রস্তাব করলে আপনি দ্বিতীয় পক্ষ উক্ত দোকানটি ভাড়া নিতে রাজি হয়েছেন। সেই মোতাবেক আমরা উভয় পক্ষ নিম্ন লিখিত শর্ত সমূহে একমত হয়ে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র দলিল সম্পন্ন করিলাম।

শর্তসমূহ


১. দোকান ভাড়ার চুক্তির মেয়াদ দিন/মাস/বছর এত ইংরেজি তারিখ হতে দিন/মাস/বছর পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

২. দোকান ভাড়ার জামানত ১,৫৪,০০০/- ( এক লক্ষ চুয়ান্ন হাজার ) টাকা দ্বিতীয় পক্ষ ( ভাড়াটিয়া পক্ষ ) প্রথম পক্ষের ( মালিক পক্ষ ) নিকট জমা প্রদান করবে।

৩. প্রতি মাসের ভাড়া ৩৪০০/- ( চৌত্রিশ শত ) টাকা প্রথম পক্ষ মাসের ৫ তারিখ এর মধ্যে দ্বিতীয় পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিতে বাধ্য থাকবে।

৪.  চুক্তি চলাকালীন সময়ে দোকানের বিদ্যুৎ বিল, পানির বিল, ট্যাক্স সহ যাবতীয় খরচ দ্বিতীয় পক্ষ বহন করবে এবং যথাসময়ে এগুলোর রশিদ প্রথম পক্ষের নিকট বুঝিয়ে দিবে।

৫. দ্বিতীয় পক্ষ দোকানে কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করতে পারবে না। যদি কোনো নিষিদ্ধ জিনিষ বিক্রয় করে এবং আইনি ঝামেলায় পড়ে তাহলে তার সম্পূর্ন দায়ভার দ্বিতীয় পক্ষ নিবে।

৬. প্রয়োজন অনুযায়ী যদি দ্বিতীয় পক্ষকে দোকান খালি করে দিতে হয় তাহলে উভয়পক্ষ দোকান খালি করার ২-৩ মাস আগে লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে দোকান খালি করার নোটিশ তৈরি করবে। সেক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষের থেকে তার জামানত বুঝে নিবে। এই শর্ত উভয়ের জন্যই প্রযোজ্য। 

৭. উক্ত চুক্তিপত্রের মেয়াদ উত্তীর্ণ হলে দ্বিতীয় পক্ষ প্রথম পক্ষকে দোকান বুঝিয়ে দিবে এবং প্রথম পক্ষ দ্বিতীয় পক্ষের জামানত বুঝিয়ে দিবে। এক্ষেত্রে দ্বিতীয় পক্ষের কোনো মাসের বকেয়া থাকলে প্রথম পক্ষ তা তার জামানত থেকে কেটে নিবে এবং বাকি টাকা দ্বিতীয় পক্ষকে বুঝিয়ে দিবে।

৮. তবে আলাপ আলোচনা করে চুক্তির মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে উভয় পক্ষ নতুন ভাড়া নির্ধারণ করে পুনরায় দোকান ভাড়া দিতে পারে।

৯. দোকান ঘরের শর্টার মেরামতের কাজ মালিক পক্ষ অর্থাৎ প্রথম পক্ষ বুঝিয়া নিবেন।

১০. প্রকাশ থাকে যে, উভয় পক্ষ চুক্তির শর্ত মানতে বাধ্য থাকবে। কোনো শর্ত ভঙ্গণ করলে উক্ত চুক্তিপত্র বাতিল হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

এতদ্বার্থে স্বেচ্ছায়, স্বজ্ঞানে, সুস্থ শরীরে অত্র দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র তে লিখিত বক্তব্য সম্পূর্ন রূপে অবগত হয়ে অন্যের বিনা প্ররোচনায় বিনা অনুরোধে আমরা উভয় পক্ষ নিজ নিজ সহি / স্বাক্ষর করলাম। ইতি তারিখ : দিন/ মাস/ বছর ইং।

দোকান এর পরিচয়

জেলা : ফরিদপুর ; থানা : জঙ্গুর্দি। থানা পার্শ্ব বাজার, ইসলামী ব্যাংকের মোড়, জঙ্গুরদী।

এই ঠিকানায় অন্দরের দোকান টি অত্র চুক্তিপত্রে দলিল দ্বারা আমি মালিক প্রথম পক্ষ ভাড়া দিলাম এবং আমি ভাড়াটিয়া দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়া নিলাম।

স্বাক্ষীগণের স্বাক্ষর: 


১. ___________________

২. ___________________

৩. ___________________

প্রথম পক্ষ মালিকের স্বাক্ষর: 
---------------


দ্বিতীয় পক্ষ ভাড়াটিয়ার স্বাক্ষর: 
-----------------

এভাবে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র তৈরি করতে হয়। আজকের পোস্ট থেকে আমরা জানতে পারলাম কিভাবে দোকান ভাড়ার চুক্তিপত্র লিখতে হয়। আশা করি সবার ভালো লেগেছে। 

পোস্টটি ভালো লাগলে লিংক কপি করে আপনার ফেসবুক আইডিতে একটা পোস্ট করে সবাইকে দেখার সুযোগ করে দিন।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Facebook Page
telegram
প্রিমিয়াম সাজেশন গ্রুপ [9 to 12]

আপনি যদি নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের দেওয়া গ্রুপে জয়েন করুন। এই গ্রুপে সকল প্রিমিয়াম সাজেশন এবং নোট পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনার পরীক্ষায় অনেক উপকার হবে।

গ্রুপ : এখানে ক্লিক করুন