১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস জেনে নিন ২০২৪

১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস, ১৪ ফেব্রুয়ারি কি দিবস

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক, আশা করি ভালো আছেন। আপনি কি জানেন ১৪ ফেব্রুয়ারি শুধু ভালোবাসা দিবস নয়? 

১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ছাড়াও বাংলাদেশে আরও কয়েকটি দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আজকের আর্টিকেলে আমরা ১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস সেই সম্পর্কে পূর্ণাঙ্গ ধারণা দিয়েছি। 

তাই আশা করব সম্পূর্ণ পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন, তাহলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কি দিবস সেই সম্পর্কে সকল তথ্য জানতে পারবেন।

১৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে কি দিবস ২০২৪

বাংলাদেশের ১৪ ফেব্রুয়ারি কয়েকটি দিবস হিসেবে পালিত হয়। তার মধ্যে অন্যতম একটি হচ্ছে সুন্দরবন দিবস। 

অর্থাৎ ১৪ই ফেব্রুয়ারি সুন্দরবন দিবস হিসেবে পালন করা হয়। অনেকেই ১৪ ফেব্রুয়ারি বলতে শুধু ভালবাসা দিবস হিসেবেই জানে কিন্তু ১৪ই ফেব্রুয়ারি শুধুমাত্র ভালোবাসা দিবসে সীমাবদ্ধ নয়। 

বাংলাদেশে এই দিনে কয়েকটি দিবস পালন করা হয়। বাংলাদেশের অন্যতম বন সুন্দরবন। ১৪ই ফেব্রুয়ারি এই দিনে জাতীয় সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। 

১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে কি কি দিবস হিসেবে পালন করা হয় তা নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

প্রিয় পাঠক, ১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের পহেলা ফাল্গুন বা বসন্ত উৎসব হিসেবে পালিত হয়। বাংলা পঞ্জিকার ১১তম মাস হলো ফাল্গুন মাস। 

ফাল্গুন মাসের ১ম দিন শুরু হয় ইংরেজি পঞ্জিকার ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী অনুসারে ১৪ই ফেব্রুয়ারি ১ম ফাল্গুন বা ফাল্গুন মাসের শুরু। 

বসন্তকে বরণ করে নেয়ার উদ্দেশ্যে মূলত ফাল্গুন মাসের শুরুতে পহেলা ফাল্গুন উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। আর সেটি হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে।

সুন্দরবন দিবস - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

১৪ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে সুন্দরবন দিবস হিসেবেও পালিত হয়। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জনসচেতনা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে সুন্দরবন দিবস পালিত হয় বাংলাদেশে। 

২০২৪ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের আওয়াতায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনার স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রূপান্তর এবং পরশের উদ্যোগে এবং দেশের আরো ৭০ টি পরিবেশবাদী সংগঠনের উপস্থিতিতে প্রথম জাতীয় সুন্দরবন দিবস পালন করা হয়। 

সেই সম্মেলন থেকে ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে জাতীয় সুন্দরবন দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। সেই হিসেবে এবার ২০২৪ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হবে ২৩তম জাতীয় সুন্দরবন দিবস।

স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

১৪ই ফেব্রুয়ারি পালিত হয় বাংলাদেশের ইতিহাসে ঐতিহ্যপূর্ণ এবং তাৎপর্যপূর্ণ একটি দিন সেটি হলো স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস। 

বাংলাদেশের অনেকেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস পালন করে থাকে। এই দিবস সম্পর্কে জানতে হলে আপনাকে যেতে হবে ১৯৮২ সালে। 

সেই সময় তৎকালীন সামরিক প্রেসিডেন্ট হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের শিক্ষামন্ত্রী ড. মজিদ খানের ঘোষিত শিক্ষানীতির বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরু করে। এরই ধারাবাহিকতায় ১৭ই সেপ্টেম্বর আন্দোলনের বিষয়ে একমত হয় ছাত্র সংগঠনগুলো। 

এরপর ১৯৮৩ সালের ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নামে। কিন্তু ঐ সমাবেশে পুলিশ বাধা প্রদান করে এবং শিক্ষার্থীদের উপরে গুলিবর্ষণ করে। 

তাতে কমপক্ষে ৫০ জন নিহত ও আরো অনেকে আহত হয় বলে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা জানান দেয়। কিন্তু লাশ পাওয়া যায় মাত্র দুইজনের। 

বাকি গুলো সব গুম করে ফেলে তারা। এই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে পরবর্তীতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি স্বৈরাচার প্রতিরোধ দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বুক গিভিং ডে - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

বইয়ের প্রতি ভালোবাসা বাড়াতে এবং বই পড়ার অভ্যাস তৈরি করতে প্রতি বছর ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে বুক গিভিং ডে পালন করা হয়। 

উপহার পেতে কার না ভালো লাগে! তাই এই বিশেষ দিনে সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে পড়ার আগ্রহ বৃদ্ধি করতে এবং বইয়ের প্রতি ভালোবাসা জাগিয়ে তুলতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে তাদের মাঝে বই সরবরাহ করা হয়। 

এই দিনটিতে বুক গিভিং ডে এর সূচনা হয়েছিল যুক্তরাজ্যে। অ্যামি ব্রডমুর ও তার ছেলের মাধ্যমে এই দিনটির সূচনা হয়েছিল। 

পরবর্তীতে এই মা ছেলের ইভেন্ট, প্রজেক্টের মাধ্যমে এই সুন্দর কাজের কথা ছড়িয়ে পড়ে গ্রাম থেকে শহর এবং আন্তর্জাতিক পর্যায়ে। 

প্রতি বছর এখন ১৪ই ফেব্রুয়ারি বিশ্বের ৪৪টির বেশি দেশে এই বুক গিভিং ডে পালন করা হয়। আনুষ্ঠানিকভাবে ৭টি মহাদেশের ৬টি মহাদেশেই ১৪ই ফেব্রুয়ারি বুক গিভিং ডে পালিত হয়।

সিস্টার ডে - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

বোন দিবস বা সিস্টার ডে পালন করা হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে। বিশ্বের সবাই ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভালোবাসা দিবস হিসেবে জানলেও এই দিনটির অশ্লীলতা ও অসামাজিক কার্যকলাপ এড়াতে পকিস্থানের ফয়ালাবাদের ইউনিভার্সিটি অব এগ্রিকালচার এই দিনটিকে বোন দিবস বা সিস্টার ডে হিসেবে সূচিত করেছেন। 

বিশ্ববিদ্যালয়টির উপচার্য জাফর ইকবাল ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে সিস্টারস ডে হিসেবে ঘোষণা করে। এই দিনে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নারীদের হিজাব ও বোরকা উপহার দেওয়া হয়। 

ভালোবাসা দিবস - ১৪ই ফেব্রুয়ারি

১৪ই ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক ভালোবাসা দিবস এটা কমবেশি সকলেই জানে। প্রতিবছর প্রিয় মানুষের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করতে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখে ভালোবাসা দিবস পালিত হয়। 

এছাড়াও গোলাপ ফুল দিয়ে, চকলেট দিয়ে প্রিয় মানুষদের সঙ্গে ভালোবাসার আদান প্রদান করে থাকে এই বিশেষ দিনে। ১৪ই ফেব্রুয়ারির বিশেষ দিনগুলো সম্পর্কে জানতে নিচের পোস্টটি পড়ুন।

পরিশেষে আমাদের কথা

প্রিয় পাঠক, আজকের পোস্টটি পড়ে আশা করি আপনারা জানতে পেরেছেন ১৪ই ফেব্রুয়ারি কি দিবস এবং বাংলাদেশে ১৪ই ফেব্রুয়ারি কি দিবস হিসেবে পালিত হয়। 

আমরা ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবস ছাড়া বাকি দিবসগুলো সম্পর্কে অনকেই জানিনা। তাই আমাদের উচিত বন্ধুদের সঙ্গে এই বিষয়গুলো শেয়ার করা। ইতিহাস ঘাটলে ১৪ই ফেব্রুয়ারি তারিখের আরও অনেক তাৎপর্য পাওয়া যাবে। 

আজকের আর্টিকেল সম্পর্কে কোনো মন্তব্য থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আজ এই পর্যন্তই, আল্লাহ্ হাফেজ।
Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url
Facebook Page
telegram
প্রিমিয়াম সাজেশন গ্রুপ [9 to 12]

আপনি যদি নবম শ্রেণি থেকে দ্বাদশ শ্রেণির একজন শিক্ষার্থী হয়ে থাকেন তাহলে নিচের দেওয়া গ্রুপে জয়েন করুন। এই গ্রুপে সকল প্রিমিয়াম সাজেশন এবং নোট পেয়ে যাবেন। আশা করি আপনার পরীক্ষায় অনেক উপকার হবে।

গ্রুপ : এখানে ক্লিক করুন